“বেদনা কি ‘ভাষা’য় রে …”
“বেদনা কি ‘ভাষা’য় রে …” সপ্তর্ষি বিশ্বাস ১। ভাষা, হায়, সে'ও হয় "ক্ষমতা-খেলা"র একটি ঘুঁটি। যেখানে দাঁড়িয়ে আছি, একা আমি নই, আমি, তুমি, আমরা সকলে, তা আদতে দ্বীপ নয়। তা আদতে একটি বিরাট তিমিমাছের পিঠ। ওই তিমি মাছ আস্তে আস্তে ডুবে যাচ্ছে। দেখছো না, সেদিনো যেখানে ছিল মানুষের বাস বসত, আজ সেখানেই হাহাকার, কান্নাকাটি, মাথায় হাত দিয়ে বসা শনচুল বুড়ি, রুগ্ন মুখ কাচ্চাবাচ্চারা, ভীত সন্ত্রস্ত বৌ'ঝি রা, কাচ্চাবাচ্চাগুলির বাপ-কাকা-মামা'রা। তাদের ঘিরে আছে ধ্বংস। তাদের ঘিরে আছে হাহাকার, বুলডোজার, লোভ, প্রতিশোধ আরো অনেক অনেক কিছু যা অন্ধকার, যা বিষাক্ত। ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে এদের ঘর। এদের কুঁড়েঘর, এদের বস্তিকোঠা, এদের তোলা উনুন, নামিয়ে দেওয়া হয়েছে রাস্তায়। এই ভেঙ্গে দেওয়ার, রাস্তায় নামিয়ে দেওয়ার ছবি তুলেছে সংবাদ-নির্মাতা আর বিক্রেতারা। ভিডিও শ্যুট করেছে বুলডোজারে বসে। হেসেছে। বলেছে 'এখন বুঝুক মজা। যতোসব বাংলাদেশী, উইপোকার দল। সরকারের জমি দখল করার ঠ্যালা সামলাক এখন ..." এদিকে একটি মধ্যরাত, যখন বুলডোজার ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, যখন তারা হয়তো ছিল ঘুমমত, হয়তো দিনের কাজের শেষে ...